স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আজ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। উভয় দলের জন্য আজকের ম্যাচকে বাঁচা-মরার লড়াই বলা যায়। অস্ট্রেলিয়ার জন্য ম্যাচটি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা আরো জোরালো করার লড়াই। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচটি দুপুর আড়াইটায় আহমেদাবাদে শুরু হবে।
আজ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থান অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের। বিশ্বকাপে সর্বাধিকবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালের টিকিটের অপেক্ষায় রয়েছে। টুর্নামেন্টের শুরুতে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে নিজেদের অবস্থা বেশ নাজুক করে তুললেও পরে জয়ের ধারায় ফিরেছে তারা। টানা চার ম্যাচে জয় তাদের।
অন্যদিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে তাদের খেলার সম্ভাবনা আগেই শেষ হয়েছে। এখন ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা করে নিতে পারবে কিনা সেই ভাবনা তাদের। ৬ ম্যাচ থেকে দুই পয়েন্ট নিয়ে ১০ দলের টুর্নামেন্টে সবার নিচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা পেতে সেরা আটে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করতে হবে। অন্যথায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দর্শক হয়ে থাকতে হবে। যেমন বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই অবস্থা এড়াতে ইংল্যান্ডকে বাকি তিন ম্যাচের অন্তত দুটোতে জয় পেতে হবে।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের এমন অবস্থা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই হার। বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ড ও আফগানিস্তান তাদের উপরে। আফগানিস্তান তো সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখছে। সেখানে ইংল্যান্ডের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ইংল্যান্ড হচ্ছে তৃতীয় দেশ যারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হয়েও নক আউট পর্বে যেতে ব্যর্থ হচ্ছে। এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া মুখোুমখি লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য রয়েছে। বিশ্বকাপে আগের ৯ ম্যাচের ছয়টিতে অস্ট্রেলিয়ার জয়। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে পর্যন্ত সব লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়া শেষ হাসি হেসেছিল। তবে ২০১৯ সালে এজবাস্টনে হওয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের সামনে সেই জয়ের ধারাটা ধরে রাখার সুযোগ আজ। কেননা অস্ট্রেলিয়া দলে থাকছেন না গ্লেন মাক্সওয়েল ও মিচেল মার্শ। ম্যাক্সওয়েল গলফ খেলার সময় আহত হয়েছেন। আর মার্শ ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফিরেছেন। ফলে খর্ব শক্তির অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পাওয়ার দারুণ এক সুযোগ ইংল্যান্ডের সামনে।